তরফ নিউজ ডেস্ক : আলোচিত ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ফারাবী নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে কাশেমপুর কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের হাজির করা যায়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাফাত রহমান। অপর আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ রাষ্ট্রপক্ষের, আপিল করবে আসামিপক্ষ। এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার খান জাকির।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম লিটন। তারা বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আশা করি উচ্চ আদালতে আসামিরা খালাস পাবেন।
বিচারক বেলা ১২টা ১০ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। এর আগে চার আসামিকে এজলাসে আনা হয়। এ সময় তাদেরকে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। এদের মধ্যে দুইজনকে পুরো সময়ে ফিসফিস করে কথা বলতে দেখা যায়।
নথি থেকে জানা যায়, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। ১লা আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।